নতুন সিলেবাসে প্রিলিমিনারির প্রস্তুতিঃ
সুজন দেবনাথ
সহকারী সচিব,বাংলাদেশ পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়
২৮ তম বিসিএস।(পররাষ্ট্র)
ইংরেজীর এর জন্য বইঃ English for Competitive Examination – এ বইটা আগের বছরের বিসিএস এবং অন্যান্য পরীক্ষার প্রশ্নের সলিউশনের জন্য অনেকেই ফলো করে। কিছু ভুল বাদ দিলে এটা থেকে প্রশ্নের ভাল ধারণা হয়। ইংলিশের সব গাইডই ভুলে ভরা, তাই সাবধান হতে হবে। এই বইটা থেকে আগের বছরের প্রশ্ন সলভ হবে, কিন্তু ডিটেইল গ্রামারের নিয়ম পড়া হবে না। গ্রামার এর জন্য যে কোন ইন্টার মিডিয়েট লেভেলের গ্রামার বইয়েই চলবে। আগে যেটা পড়েছেন সেটাই পড়ুন। আগে যারা P. C. Das, বা Wren & Martin English Grammar পড়েছেন, তাঁরা অবশ্যই এগুলোই পড়বেন। আর আগে যারা এগুলো পড়েননি, তাঁরা ৩৫-তমের জন্য এখন এগুলো শুরু করার দরকার নেই। অন্য যেটা পড়েছেন, তাতেই হবে। সেটা Advance Learners এর মত হলেও চলবে। এখন এই গ্রামার বই আপনাকে বেসিক নিয়ম 44শিখাবে, তাতেই ৭০% কাজ হয়ে যায়। কিন্তু এইসব গ্রামার বইতে চাকরির প্রশ্নের মত করে নিয়মগুলো অনেক সময়ই দেয়া থাকে না। তাই গ্রামারের নিয়মের জন্য বাজারের যে কোন জব গ্রামার বই (saifir’s, mentors, oracle যা আছে বাজারে- যে কোনটা) দেখুন। এবার গ্রামারের যে সব টপিক সিলেবাসে দেয়া আছে সেগুলো দেখিঃ
=>প্রথমে দেখি G) Composition: Names of parts of paragraphs/letters/applications: এখানে ২টা জিনিসের কথা বলা হইছে।
(১) ইংরেজী চিঠি/এপ্লিকেশানের বিভিন্ন অংশের নাম – এটা তো আমরা স্কুলে vii-viii এ পড়েছি। ওই ক্লাসের গ্রামার বইয়ে এখনো আছে। নিজে খাতায় লিখে ফেলতে পারেন। আর সহজ জিনিস, তাই নতুন যে বিসিএস গাইডগুলো বের হবে তাতে থাকবে। (২) parts of paragraphs: একটা প্যারাগ্রাফের কি কি অংশ থাকে সেটা সিলেবাসে আছে। এটা নতুন সংযোজন মনে হচ্ছে। কিন্তু জিনিস সোজা। একাডেমিক রাইটিংয়ে একটা paragraph-এ ৩টা পার্ট থাকেঃ (i)Topic Sentence (ii) Body বা supporting sentence (iii) Concluding Sentence. আমি একটা উদাহরণ দেই। ধরুন, আমি একটা আর্টিকেল লিখছি – ‘Why Bangladeshi Peacekeepers are more reliable than the Pakistani peacekeepers.’ আসলে আমি থিসিস করছি শান্তিরক্ষায় বাংলাদেশের সাফল্য – অন্য দেশের সাথে আমাদের তুলনা নিয়ে। তাই এই উদাহরণটাই মাথায় আসল। যাই হোক, ধরুন এতে বাংলাদেশ যে ভাল, তার কয়েকটা ইস্যু খুঁজে পেলাম। এখন যেভাবে ইচ্ছা লিখলে সেটা একাডেমিক রাইটিং হবেনা। প্রতিটা ইস্যুর জন্য একটা করে paragraph লিখব। ধরি ১ম ইস্যু হল - বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ব্যাকগ্রাউন্ড আর পাকিস্থানের সামরিক শাসনের কারণে জাতিসংঘ বাংলাদেশকে প্রিফার করে। এই ইস্যুটা নিয়ে যে paragraph টা লিখব তাতে তিনটা অংশ থাকবে। (i)Topic Sentence (ii) Body বা supporting sentence (iii) Concluding Sentence. এখানে Topic Sentence মানে প্রথম বাক্যে–এ শুধু ইস্যুটা বলব। মানে ‘main idea’ টা। এই বাক্যের মাধ্যমে নিশ্চিত হবে যে, এই paragraph টা কি নিয়ে লিখব। মানে এই topic sentence দিয়ে paragraph টাকে control করা হয়। যাতে অন্য বিষয় চলে না আসে। তাই topic sentence কে controlling sentence বা controlling idea বলা হয়। Topic Sentence এর পর কয়েকটা বাক্যে এই ইস্যুটিকে ডিটেইলস বলল। এই ডিটেইলস অংশকে বলে Body বা supporting sentence. এতে উদাহরণ, কোটেশান, কারণ, ডেটা (reasons, examples, statistics, facts, quotations) এসব থাকবে। আর সবশেষ বাক্যে আবার পুরো paragraph টাকে summarize করর। এজন্য শেষ বাক্যটিকে Concluding Sentence বা Concluding remark বলে।
=>সিলেবাসের গ্রামার অংশের (A) থেকে (E) তে শুধু টপিকের নাম। এগুলো গ্রামার বই থেকে পড়ে ফেলুন। এখানে Transformation of Sentence আর Correction এর টপিক সরাসরি দেয়া আছে। এই এই টপিকগুলোতে জোর দিন। মানে আগে যেমন কারেকশানের কোন আগা-মাথা ছিল না, এখন ধারণা করা যাবে কোথা থেকে আসবে।
=>(F)Words: Meanings, Synonyms, Antonyms, Spellings, Usage of words as various parts of speech, Formation of new words by adding prefixes and suffixes: এখানে ভোকাবিউলারি আর, নতুন শব্দ গঠনের কথা বলা হয়েছে। বাজারের যে কোন ভোকাবিউলারি বইতেই চলবে। অবশ্যই আগের প্রশ্ন প্রথমে সলভ করবেন। আর যারা সময় নিয়ে ভোকাবিউলারি পড়তে চান, তাঁরা Word Smart (I &II) পড়তে পারেন। এছাড়া ভোকাবিউলারির জন্য আমার তৈরি করা ১২ টা ভিডিও টিউটোরিয়াল Youtube এ আছে, ওগুলো ডাউনলোড করে কয়েকবার শুনতে পারেন। ‘Sujan Debnath’ বা ‘অব্যয় অনিন্দ্য’ লিখে Youtube –এ সার্চ দিলেই পাওয়া যাবে। যদি এগুলো প্রাকটিস করতে চান, তাহলে, আমার পরামর্শ হল - কয়েকবার শুনতে হবে আয়ত্ত্ব হতে হলে। ডাউনলোড করে গানের মত শুনলেও কাজে দিতে পারে। ভিডিওর শব্দগুলোকে খাতায় লিখে ফেলতে পারেন। এরপর যেখানে যে ওয়ার্ড পড়বেন সেটা যদি ওই ৩৯ টা গ্রুপের কোনটার সাথে মিলে যায়, সেখানে লিখে ফেলবেন। না মিললে নতুন গ্রুপ করে লিখে ফেলবেন। এভাবে আপনার নিজের একটা ভোকাবিউলারি খাতা হয়ে যাবে। ২-৩ সপ্তাহেই দেখবে অনেক অনেক কনফিডেন্ট হয়ে গেছেন। পরে ১৫দিন পর পর পুরা ওয়ার্ড খাতাটা রিভাইস করবেন। ভোকাবিউলারির কোন সাজেসশন হয় না, এক্ষেত্রে কনফিডেন্ট হতে পারাটাই আসল। শুধু ভোকাবিউলারি পড়লেই হবে না, আগের বিসিএস ও অন্যান্য চাকরির পরীক্ষার যা এসেছিল, সেগুলোর মত প্রাকটিস করতে হবে। তবে এখন যেহেতু পরীক্ষা খুব কাছে তাই সারাদিন বসে ভোকাবিউলারি পড়ার টাইম নাই।
PART- II: Literature 15: সিলেবাসঃ [ English Literature: Names of writers of literary pieces from Elizabethan period to the 21st Century. Quotations from drama/poetry of different ages। ] মানে লেখকের নাম, বইয়ের নাম আর কোটেশান। সেটা এলিজাবেথান পিরিয়ড থেকে আধুনিক পর্যন্ত। এইটা একটু নতুন সংযোজন। মানে ১৫ নম্বর এখান থেকে আসবে, তাই এটার দিকে নজর দিতেই হবে। আমি চেষ্টা করব, সময় পেলে ইংরেজী সাহিত্যের উপর একটা বড় আর্টিকেল লিখতে। তবে আমি এই বিষয়ে একপার্ট নই। তবুও এখানে দু’এক লাইন করে লিখে দিচ্ছি। যাতে যারা আগে পড়েননি তাঁরা শুরু করতে পারেন। যাতে গাইড থেকে বা অন্য কোথাও পড়লে যেন মনে না হয় – এম্মা, এগুলো কি!
Periods of English Literature:
=> Elizabethan period (1558–1625): রাণী প্রথম এলিজাবেথ আর রাজা জেমস-১ এর শাসনকালে ট্রাজেডি ভিত্তিক থিয়েটারের যুগ। এই সময়ের বিখ্যাতদের মধ্যে Edmund Spenser, William Shakespeare, Ben Jonson, and Christopher Marlowe এরকম কয়েকজন। এদের কিছু বইয়ের নাম, ২/১টা কোটেশান আর শেক্সপিয়ারের জন্ম-মৃত্যুসহ ডিটেইলস জানতে হবে।
=> Neo-Classical Period (1660–1798): আঠার শতকের শেষ পর্যন্ত এই যুগ। এর আবার তিনটা ভাগ আছে। এযুগের কয়েকজন বিখ্যাত সাহিত্যিক হলেন John Milton (ওনার Paradise Lost এর কথা আমরা জানি), Alexander Pope, Jonathan Swift, Samuel Johnson (১ম ইংরেজী ডিকশনারি এই জনসনের)।
=> Romanticism (1798–1837): ১৭৯৮ সালে William Wordsworth এবং Samuel Taylor Coleridge কিছু গীতিকবিতা লিখেন, যেগুলোকে Lyrical Ballads বলে। আমাদের HSC তে এই S. T. Coleridge এর ‘The Ancient Mariner’ ছিল ইংরেজী বইয়ের প্রথম গল্প। আসলে আমাদের জন্য এটা গল্প আকারে দেয়া হয়েছিল। এটা ছিল তাঁর কবিতা ‘The Rime of the Ancient Mariner’- ১৭৯৮ সালে প্রকাশিত। এর বিখ্যাত লাইনগুলো আমরা শুনেছি-
“Water, water, everywhere, // And all the boards did shrink; // Water, water, everywhere, // Nor any drop to drink”
একেবারে রবীন্দ্রনাথ বা তাঁর আগের বিহারীলালের ছন্দের মত, তাই না? এগুলো গীতিকবিতা।
যাই হোক, এটা প্রকাশের সাথেই শুরু হয় ইংরেজী সাহিত্যের রোমান্টিক যুগ। তাহলে রোমান্টিক যুগের বিখ্যাতরা হলেন William Wordsworth, Samuel Taylor Coleridge, William Blake. এনারা হলেন রোমান্টিক যুগের ফার্স্ট জেনারেশন। আর সেকেন্ড জেনারেশান রোমান্টিক কবিরা হলেন বায়রন, শেলী, কিটস (Lord Byron, Percy Bysshe Shelley, John Keats). ১৮৩৭ সালে রাণী ভিক্টোরিয়া সিংহাসনে বসেন। এরপর শুরু হয় ভিক্টোরিয়ান যুগ।
=>Victorian literature (1837–1901): রাণী ভিক্টোরিয়ার ক্ষমতা গ্রহণ থেকে এই যুগ। এই যুগে উপন্যাস জনপ্রিয় মাধ্যম হয়। এযুগের বিখ্যাতদের মধ্যে Charles Dickens, George Eliot, Robert Browning, Alfred Lord Tennyson ইত্যাদি। ডিকেন্সের কথা আমরা জানি। ফরাসী বিপ্লবের পটভূমিতে প্যারিস আর লন্ডনকে নিয়ে লেখা তাঁর “A Tale of Two Cities” তো বেস্ট সেলিং বই। আর টেনিসন ছিলেন রানী ভিক্টোরিয়ার রাজকবি।
=> ১৯০১ সাল থেকে আধুনিক যুগ। এসময়ের কিছু বইয়ের লেখকের নাম জানতে হবে। টি এইচ এলিয়ট থেকে আজকের চেতন ভগত যে কেউই হতে পারে। কিছু বইয়ের নাম বার বার জোরে জোরে বলবেন, অন্য কাউকে শোনাবেন।
এই যুগবিভাগে বিভিন্ন জায়গার কিছুটা পার্থক্য দেখা যায়। তাই গাইডে বা অন্য কোথাও কিছু অমিল বা উপযুগ থাকতে পারে।
চলবে..........
নতুন সিলেবাসে প্রিলিমিনারির প্রস্তুতিঃ সুজন দেবনাথের জানালায়
BCS: Preliminary
সুজন দেবনাথ
সহকারী সচিব,বাংলাদেশ পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়
২৮ তম বিসিএস।
বিসিএস(পররাষ্ট্র)
সুপ্রিয় ভাইবোনেরা
কথা দিয়েছিলাম - নতুন ডিটেইলস সিলেবাস পেলেই লিখব। কথা রাখার সুনাম আমার তেমন নেই। কিন্তু ভালোবাসার খোঁচায় এখন আমি কি-বোর্ডে। রাত্রির শেষ প্রহরে - ক্যানবেরায়। তো লেটস মুভ।
৩৫-তম বিসিএস ২০০ নম্বরের। তাই পাটিগণিত বলছে – পড়া দ্বিগুণ হয়ে গেছে। ডিটেইলস সিলেবাস দেখে কথাটা সত্যি বলেই মনে হল। হ্যাঁ, প্রিলির পড়া বেড়ে গেছে। কিন্তু ভাই (কমন জেন্ডার), এটা তো আপনার একার জন্য না। সবাই একই জায়গায় দাঁড়িয়ে। পরীক্ষাটা প্রতিযোগিতার। পাশ-ফেল নয়। তাই পড়া বাড়ুক-কমুক, কিচ্ছু আসে যায় না। এখন যারা সময়কে কাজে লাগাবেন তাঁরাই হবেন লম্বা রেসের ঘোড়া।
আমার এই লেখাটা অনেক বড়। পড়তে পড়তে ক্লান্ত হয়ে যেতে পারেন। আমি পারতাম ২০টা বাক্যে কিছু বইয়ের নাম আর টপিক বলে লেখাটা শেষ করতে। কিন্তু মন চাইল না। কারণ সিলেবাসটা নতুন। বাজারে এখনও গাইড নেই। আর গাইড এলেও সেটা নতুন সিলেবাসের জন্য কতটুকু কার্যকর হবে সন্দেহ আছেই। কারণ সবার জন্যই নতুন। এজন্য আমি প্রতিটা বিষয়ে এই মুহূর্তে ডিটেইলস যা মাথায় এসেছে সব লিখার চেষ্টা করছি। তাই পড়তে পড়তে মনে হতে পারে, আরে এত্ত কিছু। কবে শেষ হবে! আসলে এমনটা মনে হবেই। সেজন্যেই আগে বলে দিচ্ছি – আমি ইচ্ছে করেই ডিটেইলস লিখেছি বলে অনেক কিছু মনে হবে। প্রিলির জন্য আপনাকে ২০০ পেতে হবে না। তাই কিছু শেষ না হলে না হবে। এসব পরীক্ষায় প্রিপারেশনের শেষ বলে কিছু নেই। পুরোপুরি সেটিসফাইড হয়ে পরীক্ষা হলে যায়, এমন লোক একজনও নেই। এই যে সেটিসফায়েড না হওয়া, এটাই আপনাকে পথে রাখবে। তাই কনফিডেন্ট হোন – বাংলাদেশের ১০০, ২০০, ৫০০ বা ১০০০ জনের মধ্যে আপনি আছেনই। আর প্রিলিতে তো আরও অনেক কোয়ালিফাই করবে। তো না হবার আসলেই কিছু নেই। আপনি চাইলেই সময় কথা বলবে।
বিষয়ভিত্তিক আলোচনার আগে কয়েকটা বেদবাক্য বা ফরজ বলে নেই। নাহলে বলতে ভুলে যাবঃ
১.নতুন সিলেবাস বলে আগের বছরের প্রশ্নকে হেলাফেলা করবেন না, আগের প্রশ্নই আপনাকে লাইনে রাখবে।
২.নতুন গাইড বের হলেই কিনে ফেলুন। সিলেবাস আর আগের প্রশ্ন মাথায় রেখে পড়ুন। দেখুন গাইডে সিলেবাসের কোন কোন জিনিস বাদ দিয়েছে। আমি এখানে কোন বইতে সিলেবাসের কি আছে, সেটা দিতে চেষ্টা করেছি। গাইডে যে জিনিস বাদ দিয়েছে বা আপনার মনের মত হয় নাই, সেটা সময় পেলে ওখানে দেখুন, লিখে ফেলুন।
৩.অনেক পড়া। তাই সিলেবাস আর আগের প্রশ্নের বাইরে এলোমেলো জিনিসে সময় দিয়েন না একেবারেই।
৪.একটা ২০০ নম্বরের মডেল টেস্টের গাইড কিনবেন নভেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহে। যতবেশি সম্ভব মডেল টেস্ট নিজে নিজে সময় ধরে দিবেন।
৫.পরীক্ষায় ভুল উত্তর করবেন না, মাইনাস নম্বরের কথা ভালভাবে মাথায় রাখুন।
সিলেবাসটা খুলে নিন, সুবিধা হবে।
বাংলাঃ ৩৫ নম্বরঃ বাংলার সিলেবাসে দুটি অংশ। ভাষা – ১৫ নম্বর, সাহিত্য - ২০ নম্বর।
ভাষাঃ ১৫ নম্বর
=> প্রয়োগ-অপপ্রয়োগ, বানান ও বাক্যশুদ্ধি, পরিভাষা, সমার্থক ও বিপরীতার্থক শব্দঃ এগুলো এইচএসসির যে কোন ব্যাকরণ বইয়ে আছে। এর মধ্যে ‘ভুল-শুদ্ধি’ আর ‘পরিভাষা’ আগের সিলেবাসে লিখিত পরীক্ষায় ছিল। তাই আগের বাংলা রিটেন গাইড (যে কোনটা) দেখতে পারেন। অবশ্যই রিটেনে যে বাক্যশুদ্ধি আর পরিভাষা এসেছিল, সেগুলো আগে দেখুন। সিলেবাসে ‘বানান ও বাক্যশুদ্ধি’ আছে। তো এর জন্য এইচএসসির ব্যাকরণ বই তো দেখবেনই। সেই সাথে অবশ্যই নবম-দশম শ্রেণীর বোর্ডের ব্যাকরণ বই থেকে কয়েকটা চাপ্টার দেখতে পারেনঃ ণ-ত্ব বিধান, ষ-ত্ব বিধান, বাক্য (বাক্যের গুণ মানে আকাংক্ষা, আসত্তি, যোগ্যতার চাপ্টারটা), বচনের চাপ্টারেও কিছু নিয়ম আছে।
=> ধ্বনি, বর্ণ, শব্দ, পদ, বাক্য, প্রত্যয়, সন্ধি, সমাস : এগুলোর জন্য নবম-দশম শ্রেণীর বোর্ডের ব্যাকরণ বই যথেষ্ট। এখন কথা হল – সিলেবাসে এই কয়টা জিনিস স্পেসিফিকভাবে দেয়ায় একটা ধোঁয়াশা তৈরি হল। সিলেবাসে ‘শব্দ’ উল্লেখ আছে। এর মানে কি? শুধু শব্দের চাপ্টার নাকি শব্দতত্ত্ব বলতে ব্যাকরণে যা বুঝায় সেটা? আবার লক্ষ্য করুন প্রত্যয়, সমাস এগুলো উল্লেখ আছে। এগুলো দিয়ে কিন্তু শব্দই তৈরি হয়। কিন্তু উপসর্গ, বচন, লিঙ্গ এগুলো উল্লেখ নাই। এগুলোও শব্দতত্ত্বেরই অধীনে। আর আগের প্রিলিমিনারি প্রশ্ন বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, উপসর্গ, বচন এগুলো থেকে অনেক প্রশ্ন এসেছে। তাই এখানে কি পড়বেন সেই সিদ্ধান্তে একটু জটিলতা আছে। তো আমার পরামর্শ হল – আগে সরাসরি যেগুলো উল্লেখ আছে, সেই চ্যাপ্টারগুলো পড়ুন, তারপর সেই সাথে রিলেটেড জিনিসও অবশ্যই পড়তে হবে।
ধ্বনি, বর্ণ, উচ্চারণ স্থান, ধবনি পরিবর্তন, শব্দ, শব্দের শ্রেণীবিভাগ (উৎপত্তি, গঠন ও অর্থ অনুসারে), পদ, বাক্য, প্রত্যয়, সন্ধি, সমাস এগুলোর জন্য আলাদা আলাদা চ্যাপ্টার নবম-দশম শ্রেণীর বইটায় আছে। আর এর সাথে সম্পর্কিত চাপ্টারগুলোও বাদ দেয়া যাচ্ছে না। তার মানে কি? আমার দৃষ্টিতে এর মানে হল – এই চাপ্টারগুলোর গুরুত্ব বেড়ে গেল। আর আপনি নিশ্চয়ই এতদিনে আগের প্রশ্ন এনালাইসিস করেছেন। সেই আলোকে অন্য চ্যাপ্টারগুলোও পড়ুন।
সাহিত্যঃ ২০ নম্বর
সাহিত্যের জন্য আমার পছন্দের বই - সৌমিত্র শেখরের 'জিজ্ঞাসা'।
সিলেবাসে সাহিত্যের জন্য আবার ২টা অংশ স্পেসিফিক করে দিয়েছে। প্রাচীন ও মধ্যযুগ-৫ নম্বর, আধুনিক যুগ (১৮০০ থেকে বর্তমান)-১৫ নম্বর। এখন আগের রিটেনের সিলেবাসে বাংলার সাহিত্যের কিছু জিনিস উল্লেখ ছিল। এগুলো হল (আমি আগের সিলেবাসটা থেকে কপি করে দিলাম) - Charyapada, Mangal Kavya, Romantic Kavya, Fort William College, Vidyasagar, Bankimchandra Chatterjee, Madhusadan, Mir Mossarraf Hossain, Rabindranath Tagore, Dinobondhu Mittra, Kazi Nazrul Islam, Jashim Uddin, Begum Rokeya, Farrukh Ahmed, Kaikobad, Modern and Contemporary poets, writers and playrights of Bangla literature. এখানে ১১ জন কবি-সাহিত্যিকের নাম সরাসরি দেয়া ছিল। আর সাথে আধুনিক ও সমকালীন কবি, সাহিত্যিকদের কথা উল্লেখ ছিল। এখন ২৭-৩৪ বিসিএসের প্রিলি প্রশ্ন এনালাইসিস করলে দেখবেন বাংলার ২০ নম্বরের মধ্যে এগুলো থেকে ১৫ টার মত আসত। তাই এগুলো অনেক গুরুত্বপূর্ন ছিল। তো ৩৫-তম বিসিএসের জন্য রিটেনের ডিটেইলস সিলেবাস এখনো দেয়নি। যদি প্রিলি পরীক্ষার ১৫ দিন আগেও (মানে প্রশ্ন করার সময় হিসেবে বলছি) রিটেনের ডিটেইলস সিলেবাস দেয়, তাতে এরকম কয়েকজন কবি-সাহিত্যিকের নাম সরাসরি থাকার কথা। তাহলে সেগুলোই হবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। আর এখন আগের সিলেবাসের এই ১১ জনের সবকিছু পড়ে ফেলুন। আর আধুনিক ও সমকালীন কবি, সাহিত্যিকদের মধ্যে আগের প্রশ্ন দেখে বাছাই করুন – কারা গুরুত্বপূর্ণ। কয়েকজনের নাম চোখ বন্ধ করেই বলে দেয়া যায় - শামসুর রাহমান, শহীদুল্লাহ কায়সার, জহির রায়হান, মুনির চৌধুরী, সুফিয়া কামাল, সেলিম আল দীন, সেলিনা হোসেন, নির্মলেন্দু গুণ এরকম আরো অনেকেই। আমি এই মুহূর্তে যা মাথায় আসল, তাঁদের নামই লিখলাম। মানে এখানে আরও অনেকেই আসবে। আর যদি কোন কবি, সাহিত্যিক সাম্প্রতিক সময়ে মারা যান, তাঁর তথ্য যে কোন পরীক্ষার জন্য গুরুত্বপুর্ণ। এছাড়া আগের রিটেনের সিলেবাসটায় বড় একটা ফাঁক ছিল। সেটা হল – প্রমথ চৌধুরী (চলিত ভাষায় অবদানের জন্য যাকে যে কোন বাংলা বিশেষজ্ঞ অনেক উপরে রাখেন), শরৎচন্দ্র (উপন্যাসকে যিনি দুপুরের ঘুমের ঔষধ বানিয়ে দিয়েছিলেন), ৩-বন্দ্যোপাধ্যায় (মানিক, বিভূতি, তারাশংকর), কবিতার পঞ্চ-পাণ্ডব (জীবনানন্দ, বুদ্ধদেব, সুধীন্দ্রনাথ, বিষ্ণু দে, অমিয় চক্রবর্তী), সুকান্ত ভট্টাচার্য – এরা ছিল না। কিন্তু এদের থেকে প্রশ্ন সব সময়ই আসত। তাই এদেরকে হেলাফেলা না করাই উচিত। পঞ্চপাণ্ডবের মধ্যে জীবনানন্দ আর বুদ্ধদেবের সব কিছু পড়ে ফেলুন, এরা বাংলাদেশের (পূর্ববংগের) মানুষ ছিলেন। মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় হল সেই ব্যক্তি, যিনি বাংলা সাহিত্যে আলট্রা-রোমান্টিসিজম থেকে বের হয়ে বাস্তব জীবনের ছোঁয়া দিয়েছিলেন। আর মানিকের লেখায় পূর্ববাংলা গুরুত্ব পেয়েছিল। তাই মানিকের সব কিছু পড়ে ফেলা উত্তম। শিশু সাহিত্যের কথা ধরলে সুকুমার রায় বাংলার একাধিপতি। তাঁরও ডিটেইলস পড়া উচিত।
ধারাবাহিক........
Mashroof Hossain:How I Made It In 28TH BCS
Mashroof Hossain
BCS(Police)
28th BCS
Merit Position-4 th
BCS(Police)
28th BCS
Merit Position-4 th
BCS Priliminary
How I Made It In 28TH BCS. Are you going to appear in the next BCS examination?
Dear BCS Candidates ,
My heartiest "sympathy" to all you guys as you have stepped into one of the most tedious roads towards success. About me, couple of days back I was a poor soul wondering about what will happen after 2.5 years of hard work , patience and unbearable uncertainty. Fortunately, I made it in 28th BCS and my position was 4th in the Police merit list.
Before I start, one thing I want to clearly state that I do not consider myself qualified enough to "Teach" you how to do well in the BCS exam. As your fellow traveler, I am just sharing my experience. If you find these “Tips” useful and use them to achieve much bigger success, I will consider my efforts successful.
So let's get started!!!
As you all know, BCS starts with Preliminary exam. In my opinion, Preliminary is the toughest of all the exams a candidate face in the entire process. You get only one hour to answer 100 questions and the syllabus is as big as an ocean- these two things combined make the preliminary exam most challenging. Ironically, marks of preliminary exam are not added in the selection process-all you need to do is pass!
I followed the following strategies to pass the preliminary exam (both 28th and 29th):
PREVIOUS PRELIMINARY EXAMS:
This is the first step every BCS candidate should take- they should collect the questionnaire of BCS preliminary exams from 10th-33rd BCS and solve them thoroughly. Little booklets containing all the preliminary questions are found in Nilkhet which should not cost more than 50 taka. Before you start your preparation, collect it and solve all the questions. This exercise will give you a very good idea of what you will face in the real exam. As they say in Guerrilla Warfare handbooks-"Knowing your enemy is winning half the battle"-so appropriate for BCS!!!
GENERAL KNOWLEDGE(Bangladesh and international)
If you go to any "candidate's crowd", you will see at least 70 percent of them are studying General Knowledge crazily. They are trying to memorize anything and everything they have at hand, including questions like "What toilet paper Barak Obama uses".
Dear friends, please DO NOT spoil your time and energy like this. General Knowledge does not have any syllabus and no matter how much you study, you will never be able to ensure full marks. Spend this extra time in Maths, Science or even Bangle, you will get better result with less effort.
CAUTION: I did not say that you would not study General Knowledge at all. As your preparation, take one Big General Knowledge book(Ajker Bishwo,Notun bishwo etc whatever you feel comfortable) and collect current affairs magazine(preferable Professor's) every month. DO NOT try to memorize the entire book, just study them for 30-45 minutes a day. Try to remember things that you feel important(for example, "What is the name of US president" or "Who became champion in WC Football 2010).
DO NOT,I repeat, DO NOT spoil your time and energy trying to memorize unnecessary information. Have a good knowledge of what a normal person should know (you will understand what is "Normal' once you go through the previous preliminary questions)-you will do just fine!!
BANGLE:
I passed both the preliminary exams with the help of Bangle. To study Bangle ,I will recommend 3 books a) A good preliminary Bangla guide (Professors/Oracle) b) Soumitra Shekhar’s BCS preliminary Bangla and c) Bangle Sahittyer Itihash by Mahbubul Alam/Huq(I forgot the name) . All these books are available in Nilkhet . You do not need to memorize anything, just read them over and over so that you can recognize the correct answer from the given choices. Do not bother much about grammar , Bangla grammar hardly comes in the exam . For satisfaction, you can read Bagdhara , Lingo , Karok , Somash, Deshi-Bideshi Shobdo , Ek-Kothay Prokash , PoriVasha etc from the 9-10 Bangla Grammar book. REMEMBER, 80 % questions in Bangle come from the literature part.
ENGLISH:
Nowadays English has 2 phases a) Grammar and b) Literature. Questions mostly come from the grammar portion. If you read the preliminary questions thoroughly, you will understand the topics that are covered e.g voice, narration, subject-verb agreement, phrasal verbs, idioms and phrases etc. Study these topics from class 9-10 and 11-12 grammar textbook. I used “A Passage to English Language” by SM Zakir Hossain but any good grammar book will do-no need to buy that book particularly. You will also need a good preliminary guide for practice. BE AWARE , each and every preliminary guide is full of thousands of mistakes so do not trust them with answers. See the question , try to solve it and if you are confused , consult textbook or a good English teacher. Internet can be a great help too. Just Google the word/sentence you are confused with and you will see a lot of answers/similar problems.
For Literature questions I think Professor's Current Affairs is more than enough. But sometimes they have wrong answers-so check out any confusion with an English Literature student/teacher. You just need to know questions like “Who wrote Macbeth” etc, no need to be an English Literature encyclopedia.
SCIENCE:
For science, again you need a good preliminary science guide (Oracle/MP3), SSC General Science book and previous years preliminary questions. Like all other subjects, previous preliminary questions will show you what to study.
MATHS:
I just solved previous year’s preliminary questions for my Math preparation. You can use Saifur’s Math/ Class 8’s math book for more practice. If you understand all the Maths that came in previous years questions, I do not think you will miss a single mark in maths. You should really try to get full marks in Maths by practicing because it will help you a lot to pass the exam than uncertain general knowledge questions. Instead of studying hours after hours of general knowledge, study maths. You surely will carry almost perfect score in maths , which you cannot guarantee by studying general knowledge.
HOW GOOD IS GOOD ENOUGH???
I always wondered how much marks would be enough to qualify the preliminary exam. The answer is-it depends on the question.
For example, in 28th BCS I answered only 57 and got approximately 46.5 after negative marking. I thought it would not be enough but it was! In 29th BCS , where question was very easy, I answered 71 and probably got 67. There are people who got 65 didn’t qualify in 29th BCS, and there are people who got 43 but qualified in the 28th BCS exam. So, there is no hard and fast rule. 28th and 29th BCS are two extremes where previous one was very hard but later one was too easy. In a standard question, I think 60 is good enough. But again, the more you get correct-the better.
SHOULD I GUESS CONFUSING QUESTIONS????
I recommend not to. For every wrong answer they actually penalize you with 1.5 marks-1 mark for the wrong answer and 0.5 from what you got correct. When the question is easy like the 29th BCS, it is better to answer questions that you are 70% sure but for tough questions like 28th BCS you should be as precise as possible. But if you see that you are not being able to ensure even 40-45 marks, it is better to take a risk and answer questions that you are 50% sure.
NIGHT BEFORE EXAM:
To be honest, I slept only a couple of hours on both the nights before preliminary exams (28th and 29th). This is not a good practice. It is better to sleep well before any exam, which helps your brain to work more efficiently. I WARN YOU ABOUT THIS: DO NOT LISTEN TO PHONE CALLS CLAIMING THAT THEY GOT THE QUESTION PAPER. They are all liars who say like that. After the disaster of 27th BCS (where preliminary question was probably sold in 10 taka in the morning) PSC has been very careful so that this does not happen. Dear friends, trust me, cheating is not the way that would help you to get into civil service. It is better not to join the civil service than doing it by cheating. I know that our present civil service has ill reputation for corruption but people like us should be the ones to change the scenario. Besides, you are capable enough to qualify the exam solely by your merit-you do not need to collect questions for that. Work hard , every drop of your sweat will be paid off-trust me!
CONCLUSION:
If a guy like me from a private university with a 3.6 CGPA in HSC (science group) can make it in BCS in first try, I believe that all of you guys can do it. And yes, I had NEITHER any quota NOR any political connection. It is a tough process but not at all impossible. DO NOT get afraid seeing the vast syllabus-just keep studying. As Edmund Hillary (first winner of mount Everest) said- “It’s not the mountain we conquer ,but ourselves”. Give your best, God will do the rest.
BEST OF LUCK!!!
সুশান্ত পাল: আগামীকালকের যুক্তি তক্কো আর গপ্পো
সুশান্ত পাল
৩০ তম বিসিএস
বিসিএস কাস্টমস
সম্মিলিত মেধাতালিকায় ১ম স্থান
আইবিএ ভর্তি পরীক্ষায় ১ম।
BCS Priliminary- আগামীকালকের যুক্তি তক্কো আর গপ্পো
বাংলাদেশের জাতীয় ফল কোনটি ?
এই প্রশ্নের উত্তরে আমকে আমার কী যে আপন মনে হচ্ছিলো! বেচারা কাঁঠালকে সহ্যই হচ্ছিলো না ৷ বড্ডো বেমানান লাগছিলো ৷
একেই বলে এক্জাম হল৷ আহা প্রিলি!
কেউ আমাকে স্রেফ দাঁড় করিয়ে রাখলেও তাকে রীতিমতো কানে ধ’রে দাঁড় করিয়ে রাখা আমার অভ্যেস ৷ কোনো প্রশ্ন আমাকে কনফিউসড্ ক’রলে, ওটাকে আপাতত ডিভোর্স দিয়ে আমি পরেরটায় চ’লে যাই ৷ ভাবতেই মজা পাই, সেকেন্ড-টাইম-অ্যাটেমপ্টের ওয়েটিং রুমে ‘আম নাকি কাঁঠাল’ এটা ভাবতে ভাবতে আমি ওপরের প্রশ্নটাকেও বসিয়ে রেখেছিলাম ৷ এবং মহানন্দে আত্মবিশ্বাসের সাথে ‘আম’ দাগিয়েছিলাম ৷ বেচারা ঘোড়া সেদিন আমার জন্যে কষ্ট ক’রে ডিম পেড়েছিলো ৷ সেই প্রশ্নে ৷
কালকেই তো এক্জাম ৷ আজকে কী করা যায়? এটা তো আপনিই ঠিক করবেন ৷ আমার মতো ক’রে আমি কিছু লিখলাম ৷ যতটুকু ভালো লাগে, ততটুকুই নেবেন ৷ বাকীটা, শিফট্+ডিলিট ৷
১. দীর্ঘ শ্বাস নিতে নিতে চমৎকার কিছু কল্পনায় আনলে নাকি টেনশন কমে৷ কী জানি! আমি দেখেছি, টেনশন কমানো নিয়ে ভাবলেই বরং টেনশন বাড়তে থাকে ৷ পরীক্ষার আগের দিন টেনশন করাও তো একটা সাধারণ ভদ্রতা৷ ওটা না হয় একটু থাকলোই! ওকে পাত্তা কম দিন ৷
২. পুরোনো সাফল্যের কথা ভাবতে পারেন ৷ মা-বাবা’র মুখের হাসি মনে ক’রে আপনার চোখ দু’টোই না হয় একটু হেসে নিক ৷
৩. উল্টা-পাল্টা ভাবতে ভালো লাগলে ওটাই ভাবুন ৷ ইফ ইউ আর গোয়িং থ্রু হেল, কিপ গোয়িং---আমি এই মন্ত্রে বিশ্বাসী (তবে, একটু ভিন্নদৃষ্টিতে)৷ যা ইচ্ছে তা-ই ভাবতে থাকুন, ভাবনা বাধা পেলে দুর্ভাবনাই বাড়ে ৷
৪. আজকের জন্যে পড়াশোনা শিকেয় তুলে রাখুন ৷ যতই পড়বেন, ততই মনে হবে, এটার উত্তর কালকে মনে থাকবে তো? (এটা আসবে, এটা কে বললো?) কেনো আগে আরো একটু ভালোভাবে পড়লাম না? (ভাব ধরেন, না?) এই প্রশ্নের উত্তর আমি যেটা জানি, সেটা ঠিক তো? (ঠিক না হ’লেই বা কী?) অমুককে একটা ফোন দিয়ে দেখি ৷ (আপনি কি শিওর যে, ও নিজেই আপনাকে জিজ্ঞেস করার জন্যে ওয়েট করছে না?) . . . . . . ইচ্ছে হ’লে আপনার বনলতা সেন’কে (যদি থাকে আদৌ) একটা কল দিন ৷ দু’দণ্ড শান্তির আশায় ৷ একটু চুমুই না হয় খেলেন, ফোনে ৷ পেইনফুল বিসিএস’কে ঘুমুতে দিন একটু৷ অনেক দৌড়েছে সে ৷
৫. একটা ফ্যাক্ট শেয়ার করি ৷ কিছু কঠিন প্রশ্ন থাকে যেগুলো বার বার পড়লেও মনে থাকে না ৷ সেগুলো মনে রাখার চেষ্টা বাদ দিন ৷ কারণ এই ধরণের একটি প্রশ্ন আরো কয়েকটি সহজ প্রশ্নকে মাথা থেকে বের করে দেয় ৷ জাস্ট সে নো টু দেম ৷
৬. আপনি কী জানেন, তার চেয়ে বেশি ইমপর্টেন্ট হলো আপনি যা জানেন তা কতটা কাজে লাগাতে পারছেন ৷ যারা অনেক জানেন, তারা বেশিরভাগ সময়েই যারা অনেক জানেন না, তাদেরকে সহজ টার্গেট ভেবে আনডার এস্টিমেট করেন৷ ভাবনার এই স্বাচ্ছন্দ্যই ওদের ক্রমশ দুর্বল আর ভালনারেবল্ ক'রে দেয়। এটাকে কাজে লাগাতে পারলেই মজা৷ অতিপণ্ডিতদের ফেল ক’রতে দেখার মজাই আলাদা! নিজে পাস ক’রলেও এতো মজা লাগে না ৷ এই পৃথিবীতে নোবডি হ'য়ে থেকে আসলে কোনো লাভ নাই৷ যে যা-ই বলুক, এটা নিশ্চিত, নোবডি-দের জন্যে এই পৃথিবীতে শুধু নাথিং-ই বরাদ্দ থাকে ৷
৭. সব প্রশ্নের উত্তর করতে যাবেন না ভুলেও ৷ প্রিলিমিনারি হাইয়েস্ট মার্কস্ পাওয়ার পরীক্ষা নয়, স্রেফ পাস করার পরীক্ষা ৷ কিছু কিছু ডিফিকাল্ট আর কনফিউজিং প্রশ্ন ছেড়ে দেওয়ার উদারতা দেখান, কিপ্টেমিটুকু আপাততঃ জমিয়ে রাখুন রিটেন এক্জামের জন্য ৷
৮. ব্লাইন্ড গ্যেসিং করতে যাবেন না, তবে কিছুটা ইন্টেলেকচুয়াল গ্যেসিং করলে কোনো দোষ নেই ৷ ৬টা প্রশ্ন ছেড়ে জিরো পাওয়ার চাইতে ৩টা কারেক্ট করে ১.৫ পাওয়া অনেক ভালো ৷ ভুল করুন বুদ্ধি খাটিয়ে৷ সফলভাবে ব্যর্থ হওয়াটাও কিন্তু মস্ত বড়ো একটা আর্ট৷ এমনভাবে পরীক্ষা দিন যাতে পরবর্তীতে নিজের ভুলগুলোকে ‘মধুর’ মনে হয় ৷ এই বিলাসিতা বড়ো সুখের৷ আহা!
৯. কম্পিটিটিভ এক্জামগুলোতে ভালো করার ক্ষেত্রে প্রস্তুতির চাইতে আত্মবিশ্বাস বেশি কাজে লাগে ৷ আই অ্যাম দ্য বেস্ট, এই ভাবটা এক্জাম হলে ধ’রে রাখুন ৷ এটা ম্যাজিকের মতো কাজ করে! একটি প্রশ্নের উত্তর নিজে ভুল ক’রলে যতটা না মেজাজ খারাপ হয়, তার চাইতে অনেক বেশি মেজাজ খারাপ হয় কারো কাছ থেকে শুনে ভুল করলে ৷ (তখন মনে হয়, ইসস্ এটা তো আমি নিজে নিজে পারতাম! . . . . . . . কী ভাব!!)
১০. প্রশ্নে দু’-একটা ছোটো-খাটো ভুল থাকতেই পারে ৷ এটা নিয়ে মাথা খারাপ করার কিছু নেই ৷ সমস্যা হ’লে তো সবারই হবে, আপনার একার নয়! নার্ভাসনেস দূর করার চেষ্টা করুন, কারণ ওতে প্রশ্নগুলো তো আর সহজ হবে না, বরং সহজ প্রশ্ন ভুল উত্তর করার সম্ভাবনা বেড়ে যাবে ৷ (আমি এভাবে কয়েকটা ভুল ক’রেছিলাম৷ হি হি হি …..) মনে রাখুন, কিউ সেরা সেরা -- যা হবার তা হবেই।
১১. এই সময়টাতে বন্ধু-বান্ধবদের সাথে পড়া শেয়ার করা বন্ধ ক’রে দিন ৷ বন্ধুদের প্রিপারেশন্ ভালো না শুনলে মন খারাপ হয়, আর প্রিপারেশন্ আপনার চেয়েও ভালো (এটাই বেশি মাথায় ঘোরে), এটা শুনলে কিন্তু মেজাজ খারাপ হয়! কেউ আপনার চাইতে ভালো স্টুডেন্ট হওয়া মানেই এই নয় যে, উনিই শুধু প্রিলিমিনারি পাস করবেন, আপনি করবেন না ৷ শেষ হাসিটা হাসার চেষ্টা করুন ৷ সাফল্য কখনোই ডিজার্ভ করা যায় না, তাকে আর্ন করতে হয় ৷
১২. এই সন্ধ্যায় এমন কিছু করুন যা করতে আপনি এনজয় করেন ৷ আমি অ্যাকাডেমিক পড়াশোনা মোটেই এনজয় করিনা ৷ যতটুকু মনে পড়ে, প্রিলিমিনারি পরীক্ষার আগের দিন সন্ধ্যায় আমি ইনস্ট্রুমেন্টাল শুনছিলাম আঙুল নাচিয়ে ৷ হোয়্যার ডু আই বিগিন . . . . . লা লা লা ……. এরপর মুভি৷ কোন মুভি? …. আই’ম গনা মেক হিম অ্যান অফার হি ক্যান্ট রিফিউজ ৷ …. ক্যুইজ৷ পারবেন বলতে? …… ইয়েস ফ্রেন্ডস্, মেক হিম (সাকসেস) অ্যান অফার হি ক্যান্ট রিফিউজ ৷
১৩. পরীক্ষার প্রয়োজনীয় জিনিস-পত্র গুছিয়ে নিয়ে রাতে তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে পড়ুন ৷ এক ঘণ্টা মাথা ঠিক রাখার জন্যে দারুণ একটা ঘুম অনেক হেল্প করে৷ কালকের ম্যাচ টি-টোয়েন্টি ৷ টেন্ডুলকারের কথা ভাবুন ৷ যে ভালো খেলে সে-ই জানে, ভালো খেলতে কী কষ্ট হয় ৷ কতটা নার্ভ-টেস্টের মধ্য দিয়ে যেতে হয় ৷ প্রিপারেশন থেকে প্রিপেয়ার্ডনেস এখানে বেশি জরুরী ৷ মাথায় রাখুন, অনলি ইওর রেজাল্টস্ আর রিওয়ার্ডেড, নট ইওর এফর্টস্ ৷
১৪. কাল সকালেও কিছু পড়ার প্রয়োজন নেই ৷ টেনশন ফ্রি থাকুন ৷ বাবা-মা’র দোয়া আপনার সাথে আছে ৷ আত্মবিশ্বাস রাখুন ৷ রাস্তায় জ্যাম্ থাকতে পারে, তাই হাতে যথেষ্ট সময় নিয়ে বাসা থেকে রওয়ানা হয়ে পড়ুন ৷ তাড়াহুড়ো করবেন না ৷ (আমার নিজের বেশিরভাগ সাফল্য অবশ্য এসেছে দৌড়ের উপর৷ ইলেভেনথ্ আওয়ার সিম্পটম্ খুব প্রবল আমার লাইফে ৷ সে গল্প আরেক দিন হবে ৷)
এই তো! আর কী! কালকের সকালের এক ঘণ্টা হোক আপনার ৷ এই লেখাটা পড়ার সময় স্ট্রেস ম্যানেজমেন্ট টিপস্’গুলো খেয়াল ক’রেছেন? না ক’রলে, খেয়াল করার স্ট্রেসটা যেনো আবার নিতে যাবেন না ভুলেও ৷ গুড্ লাক্ ফ্রেন্ডস্!
সুশান্ত পাল
৩০ তম বিসিএস
বিসিএস কাস্টমস
সম্মিলিত মেধাতালিকায় ১ম স্থান
আইবিএ ভর্তি পরীক্ষায় ১ম।
BCS Priliminary-প্রিলিমিনারী পরীক্ষার প্রস্তুতি
- বিসিএস ক্যাডার হওয়ার জন্যে আপনি কী কী পড়বেন, সেটা ঠিক করার চাইতে অনেক বেশি জরুরী আপনি কী কী পড়বেন না, সেটা বুঝতে পারা৷ একটি অপ্রয়োজনীয় topic একবার পড়ার চেয়ে প্রয়োজনীয় topic গুলো বার বার পড়ুন।
- বিসিএস এবং পিএসসি নন-ক্যাডার পরীক্ষার প্রশ্নোত্তরগুলো (সম্ভব হলে অন্ততঃ ২০০-২৫০ সেট) একবার skim through করে নিন।
- যে প্রশ্নগুলো একটু কঠিন মনে হয়, সেগুলো একাধিকবার পড়ুন৷ একটা fact শেয়ার করি৷ কিছু কঠিন প্রশ্ন থাকে যেগুলো বার বার পড়লেও মনে থাকে না। সেগুলো মনে রাখার চেষ্টা বাদ দিন৷ কারণ এই ধরণের একটি প্রশ্ন আরো কয়েকটি সহজ প্রশ্নকে মাথা থেকে বের করে দেয়।
- বাজারে কিছু মডেল টেস্ট এর গাইড বই পাওয়া যায়, যেগুলো আপনারা ইতোমধ্যেই solve করেছেন৷ প্রশ্নোত্তরগুলো আরো একবার পড়ে নিন। আচ্ছা ভালো কথা, মডেল টেস্টগুলোতে একটু কম marks পেলেও মন খারাপ করার দরকার নেই। আপনি কী জানেন, তার চেয়ে বেশি বেশি important হলো আপনি যা জানেন তা কতটা কাজে লাগাতে পারছেন।
- সব প্রশ্নের উত্তর করতে যাবেন না ভুলেও! প্রিলিমিনারী highest marks পাওয়ার পরীক্ষা নয়, just পাস করার পরীক্ষা! কিছু difficult & confusing questions ছেড়ে দেওয়ার উদারতা দেখান, কিপ্টেমিটুকু আপাততঃ জমিয়ে রাখুন written exam এর জন্য !
- Blind guessing করতে যাবেন না, তবে কিছুটা intellectual guessing করলে কোনো দোষ নেই। ৬টা questions ছেড়ে zero পাওয়ার চাইতে ৩টা correct করে 1.5 পাওয়া অনেক ভালো।
- Competitive exam গুলোতে ভালো করার ক্ষেত্রে প্রস্তুতির চাইতে আত্মবিশ্বাস বেশি কাজে লাগে। I’m the best এই ভাবটা exam hall এ ধরে রাখুন৷ এটা magic এর মতো কাজ করে! একটি প্রশ্নের উত্তর নিজে ভুল করলে যতটা না মেজাজ খারাপ হয়, তার চাইতে অনেক বেশি মেজাজ খারাপ হয় কারো কাছ থেকে শুনে ভুল করলে। (তখন মনে হয়, ইসস্ এটা তো আমি নিজে নিজে পারতাম!)
- প্রশ্নে দু’-একটা ছোট-খাট ভুল থাকতেই পারে। এটা নিয়ে মাথা খারাপ করার কিছু নেই। সমস্যা হলে তো সবারই হবে, আপনার একার নয়! Nervousness দূর করার চেষ্টা করুন, কারণ ওতে প্রশ্নগুলো তো আর সহজ হবে না, বরং সহজ প্রশ্ন ভুল answer করার সম্ভাবনা বেড়ে যাবে। মনে রাখুন, Que sera, sera.
- এই সময়টাতে বন্ধু-বান্ধবদের সাথে পড়া শেয়ার করা কমিয়ে দিন। বন্ধুদের preparation ভালো না শুনলে মন খারাপ হয়, আর preparation আপনার চেয়েও ভালো, এটা শুনলে কিন্তু মেজাজ খারাপ হয়! কেউ আপনার চাইতে ভালো student হওয়া মানেই এই নয় যে, উনি প্রিলিমিনারী পাস করবেন, আপনি করবেন না৷ শেষ হাসিটা হাসার চেষ্টা করুন।
- বৃহঃস্পতিবার সন্ধ্যায় এমন কিছু করুন যা করতে আপনি enjoy করেন৷ (আমি academic পড়াশোনা খুব একটা enjoy করিনাই যতটুকু মনে পড়ে, প্রিলিমিনারী পরীক্ষার আগের দিন সন্ধ্যায় আমি movie দেখেছিলাম, instrumental শুনেছিলাম৷) পরীক্ষার প্রয়োজনীয় জিনিস-পত্র গুছিয়ে নিয়ে রাতে তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে পড়ুন । এক ঘণ্টা মাথা ঠিক রাখার জন্যে দারুন একটা ঘুম অনেক help করে।
- শুক্রবার সকালে কিছু পড়ার প্রয়োজন নেই৷।টেনশন ফ্রি থাকুন। বাবা-মা’র আশীর্বাদ আপনার সাথে আছে। আত্মবিশ্বাস রাখুন। রাস্তায় জ্যাম্ থাকতে পারে, তাই হাতে যথেষ্ঠ সময় নিয়ে বাসা থেকে রওয়ানা হয়ে পড়ুন। তাড়াহুড়ো করবেন না।
বিসিএস পরীক্ষায় ভালো করা মূলতঃ চারটি বিষয়ের উপর অনেকংশে নির্ভর করে ---- ইংরেজি, গণিত, বিজ্ঞান ও বাংলা৷ এই চারটি বিষয় বেশি জোর দিয়ে পড়ুন। কোন কোন segment এ candidate রা সাধারণতঃ কম marks পায় কিন্তু বেশি marks তোলা সম্ভব, সেগুলো নির্ধারণ করুন এবং নিজেকে ওই segment গুলোতে ভালোভাবে prepare করে competition এ আসার চেষ্টা করুন। বিসিএস পরীক্ষার difficulty level আমার কাছে কিছুটা overrated বলেই মনে হয়েছে। বিসিএস competitive exam, এটা যতটা সত্য, real competition এ আসার মতো candidate খুব বেশি সাধারণতঃ থাকেনা, এটা ততোধিক সত্য। তাই ভয়ের কিছুই নেই। আপনাদের জন্য শুভ কামনা রইলো। আল্লাহ আপনাদের সহায় হোন।
No comments